এই ভরা বর্ষাতেই ট্রেকিং করে বিছনাকান্দি ঘুরে আসলাম। সময়-সুযোগ-টাকা
এই তিনটা জিনিস কখনোই একত্র করতে পারি না। তাই বন্ধু-বান্ধব রা প্ল্যান
করলে যেতে পারি না। এর জন্য একা একাই ঘুরতে হয় আমাকে। ৩ দিনে সিলেট শহর ও শহরের কাছাকাছি পর্যটন স্পট গুলো ঘুরেছি। সব একদিনে লেখার সময় পাব না তাই
একটা একটা করে লিখছি। আজকের টপিক বিছনাকান্দি। ঢাকা থেকে হিসেব করলে
বিছনাকান্দি ঘুরে আসতে ১২০০ টাকা (একা) খরচ হবে। জ্বী, শুধু ১২০০ টাকাই।
(ট্রেকিং করলে ১১০০)
😃
। রাস্তা ঠিক রাখতে জিজ্ঞেস করে করে হাটবেন। অথবা ট্রেকিং এর ইচ্ছা না
থাকলে আনফর ভাঙ্গা ঘাটে মটরসাইকেল দেখতে পাবেন তাদের যাওয়া-আসা মিলে ১০০
টাকা দিলে তারা আপনাকে মিনিটে বিছনাকান্দি ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। আপনি চাইলে
বাইকে করেই পান্থুমাই ও ঘুরে আসতে পারবেন। তাছাড়া শীতের সময় গেলে বাইক চালক
কে সাথে নিয়ে মেঘালয়ের পাহাড়ের নিচ দিয়ে ট্রেকিং করে ৪০-৫০ মিনিট হেটে
জাফলং ও যেতে পারবেন
😉
। বিছনাকান্দিতে ইন্ডিয়ার পাহাড়ে প্রতি চারদিন পর পর বাজার বসে। যেখানে
সবধরনের পন্য কম দামে পাওয়া যায়। বিছনাকান্দি ঘুরে আবার হাদারপার চলে আসুন।
হাদারপার বাজারে গনি মিয়ার ভুনা খিচুড়ি খেয়ে সিএনজি করে সিলেট তারপর
ট্রেনে ঢাকা।
😆
😆
রিকশায় আম্বরখানা- ৫০+৫০=১০০ টাকা (যাওয়া-আসা)
সকালের নাস্তা-৫০ টাকা
সিএনজিতে হাদারপার- ১৪০+১৪০=২৮০ টাকা (যাওয়া-আসা)
আনফর ভাঙ্গা ঘাট পারাপার- ৫+৫=১০ টাকা (যাওয়া-আসা)
মোটরসাইকেল এ বিছনাকান্দি- ৫০+৫০=১০০ টাকা যাওয়া-আসা (ট্রেকিং করলে দরকার নাই)
দুপুরের খাবার গনি মিয়ার খিচুড়ি- ৩০ টাকা
রাতের খাবার- ১০০ টাকা
মোট=১২০০ টাকা
😊 (ট্রেকিং করলে ১১০০ টাকা)
(বিদ্রঃ কেইন ব্রিজ হেটে পার হলে রিকশা ভাড়া ৩০ টাকা)
বিশ্বাসযোগ্য একজন মোটরসাইকেল চালক- দুলাল আহমেদঃ 01722-209627 (আনফর ভাঙা ঘাট থেকে পাবেন) প্রতি চারদিন পর পর ইন্ডিয়ার পাহাড়ে বাজার বসে। বাজারের দিন গেলে কম দামে জুতা থেকে শুরু করে সব কিছু কিনতে পারবেন। তাই যাওয়ার আগে দুলাল কে ফোন দিয়ে বাজারের দিনের খবর ও নিয়ে যেতে পারবেন।
(ট্রেকিং করলে ১১০০)
কিভাবে যাবেন বিছনাকান্দিঃ
রাতের ট্রেনে ঢাকা থেকে সিলেটে চলে যাবেন। রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে হাতের বাম দিকে হাটতে শুরু করলে ২-৩ মিনিট পরেই দেখতে পাবেন কেইন/ক্কীন ব্রিজ। যারা এর আগে সিলেট শহর ঘুরেছেন তাদের জন্য অজানা না এটা। তবে ভোরবেলার ব্রিজ সত্যিই সুন্দর লাগে দেখতে। ব্রিজের ওপারেই বড় একটা ঘড়ি দেখতে পাবেন।যেটার নাম আলী আমজাতের ঘড়ি। ঘড়ি দেখে একটা রিকশা নিয়ে চলে যান আম্বরখানা পয়েন্ট এ। সেখান থেকে নাস্তা সেরে সিএনজি স্টেশন এ গিয়ে বলুন হাদারপার যাবেন। হাদারপারের লোকাল সিএনজি ভাড়া আম্বরখানা থেকে ১৪০ টাকা। দুই ঘন্টায় আপনি হাদারপার বাজারে পৌছে যাবেন। সাধারণত যারা ট্রলারে ঘুরে তারা এখান থেকেই ট্রলার ভাড়া করে। সেখানে নেমে বাজারের মসজিদের সামনে দিয়ে হাটতে শুরু করুন "আনফর ভাঙ্গা ঘাট" এর উদ্দেশ্যে। কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে। ১০ মিনিট হাটলেই ঘাট পেয়ে যাবেন। ঘাট পারি দিতে ৫ টাকা লাগবে। ঘাট পারি দিয়ে আবার হাটা শুরু করুন বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে। এখন আপনাকে সোজা পথে ৪০-৫০ মিনিট হাটতে হবে। বিজিবি ক্যাম্প ও সীমান্ত পারি দিয়ে যেতে হবে বিছনাকান্দি



খরচঃ
ট্রেন ভাড়া- শোভন সিট: ২৬৫+২৬৫=৫৩০ টাকা (যাওয়া-আসা)রিকশায় আম্বরখানা- ৫০+৫০=১০০ টাকা (যাওয়া-আসা)
সকালের নাস্তা-৫০ টাকা
সিএনজিতে হাদারপার- ১৪০+১৪০=২৮০ টাকা (যাওয়া-আসা)
আনফর ভাঙ্গা ঘাট পারাপার- ৫+৫=১০ টাকা (যাওয়া-আসা)
মোটরসাইকেল এ বিছনাকান্দি- ৫০+৫০=১০০ টাকা যাওয়া-আসা (ট্রেকিং করলে দরকার নাই)
দুপুরের খাবার গনি মিয়ার খিচুড়ি- ৩০ টাকা
রাতের খাবার- ১০০ টাকা
মোট=১২০০ টাকা

(বিদ্রঃ কেইন ব্রিজ হেটে পার হলে রিকশা ভাড়া ৩০ টাকা)
বিশ্বাসযোগ্য একজন মোটরসাইকেল চালক- দুলাল আহমেদঃ 01722-209627 (আনফর ভাঙা ঘাট থেকে পাবেন) প্রতি চারদিন পর পর ইন্ডিয়ার পাহাড়ে বাজার বসে। বাজারের দিন গেলে কম দামে জুতা থেকে শুরু করে সব কিছু কিনতে পারবেন। তাই যাওয়ার আগে দুলাল কে ফোন দিয়ে বাজারের দিনের খবর ও নিয়ে যেতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন