রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

মাত্র 2500 টাকায় ঘুরে আসুন সাগরকন্যা কুয়াকাটা

দুই দিনের প্লান করেই বেরিয়ে পড়ুন সাগরকন্যার কাছে। কুয়াকাটা দেখার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে , দুই দিনের সব ঘুরে দেখে শেষ করতে পারবেন।

এই ট্যুর এর আমাদের সমস্ত প্লান নষ্ট করেছে সাকুরা পরিবহন। যাইহোক 13 জুলাই বৃহস্পতিবার গাবতলী থেকে সাকুরা পরিবহন এর রাত 11:15 এর গাড়ির টিকেট কাটি। আমরা ছিলাম 10 জন। সেই গাড়ি ছাড়ে রাত 3 টায়। এতক্ষনে বুঝেই গেলাম আমাদের পরের দিন পুরোটাই মাটি। যাইহোক ফেরি ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে পরের দিন ( ১৪-০৬-২০১৭ )কুয়াকাটা গিয়ে পৌঁছি বিকাল 5.30 এ। তখন আর কোথায় যাওয়ার নেই গিয়ে হোটেল বুক করে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে করতে সন্ধ্যা। এর পরে রাতে বিচে গেলাম। বিচে যাওয়ার পরেই মনে হলো 2500 টাকা উসুল।


যাইহোক রাত তা ছিল অসাধারণ। রাত ৪ টার দিকে হোটেলে যাই। তারপরে ঘুমের দেশে।

এর পরের দিন ( ১৫-০৬-২০১৭ ) খুব ভোরে মনে 5 তার দিকে ঘুম থেকে উঠেই বাইক নিয়ে রওনা দেয় কুয়াকাটার আসে পাশের জায়গা এবং সান রাইস দেখতে। আর আমাদের বাইক আগের দিনই ঠিক করে রাখা হয়েছিল কারণ আমাদের 5 তা বাইক লাগবে তাই আগের দিনই ঠিক করে রাখি। এর পর সকাল 5 টা থেকে 8 তা পর্যন্ত ঘুরে হোটেলে ফিরে সকালের নাস্তা তা সেরে নেই। এর পরে কিছুক্ষণ এর জন্য সবাই ঘুম এর দেশে চলে গিয়ে ছিল। যাইহোক দুপুর পর্যন্ত বীচ এ গোসল লাফালাফি করে দুপুর এর খাবার খেয়ে আবার বাইক নিয়ে বাকি সব গুলো জায়গা ঘুরে সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরি। সারাদিন আমরা কুয়াকাটার আসে পাশে সব গুলো জায়গা দেখে মুগ্ধ। বাইক এর ড্রাইভার মামা রা ছিল অত্যন্ত আন্তরিক। তাদের সহযোগীতায় আমাদের ভ্রমণ আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠে। যাইহোক আবার রাতে বীচে তার পর আবার হোটেলে ফিরে ঘুম।

১৬-০৬-২০১৭
সকাল 7 টা । ঘুম থেকে উঠেই মন খারাপ হয়ে গেল, কারণ এবার যে বিদায় বেলা। সকাল 8 টায় আবারো সেই সাকুরা পরিবহন এর বাসে রওনা দেই। ঢাকা আসি রাত 1 টায়।
# সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল কুয়াকাটা ভ্রমণ

## যেভাবে যাবেন

১। ঢাকা গাবতলী থেকে প্রতিদিন কুয়াকাটার উদ্যেশ্যে ছেরে যায় অনেক বাস। সুরভী, সাকুরা, গোল্ডেন লাইন আরো অনেক বাস রয়েছে। বাস এর ভাড়া নন এসি ৬৫০ তবে একটু দামাদামি করলে ৬০০ তে আনতে পারবেন। তবে অবশ্যই বিকালে কিংবা সন্ধ্যার টিকেট কাটবেন ।
২। পরের দিন বাস আপানকে কুয়াকাটা বিচ এর কাছে নামিয়ে দিবে। কুয়াকাটা পৌছে একটা হোটেল বুক করে নিন। কুয়াকাটার হোটেল এর মান তেমন ভালো না। ৮০০ টাকার মধ্যে রুম পেয়ে যাবেন। তবে একটু দামাদামি তো করতেই হবে। রুমের মান মুটামুটি ভালোই বলা চলে।
৩। এর একটু বিশ্রাম নিয়ে এরপরে বীচে গোসল দিয়ে আসে পাশে ঘুরুন এবং একটা বাইক ঠিক করে রাখুন পরের দিন ঘুরার জন্য । বলে রাখা ভালো আপনার সারাদিনের খাবার দাবার এর জন্য ৩ বেলায় ২৫০ টাকা খরচ তবে সেইটা আপনার খাবার এর উপরে ডীপেন্দ করে।
৪। পরের দিন ভোর ৫ টায় ঘুম্ম থেকে উঠে রউনা দিন আশে পাশের স্পট গুলো ঘুরে দেখার জন্য এবং সেই সাথে সূর্য উদয় দেকার জন্য। বাইক নিয়ে ৫ টা থেকে ৮ কিংবা ৮.৩০ এর মধ্যে মুটামুটি কয়েকটা স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন। এর পরে এসে সকালের নাস্তা টা সেরে দিন। আর বাইকের ড্রাইভারই আপনাকে বলে দিবে সে বিকালে কয়তার সময় আসবে আপনাকে রিসিভ করতে সূর্য অস্ত দেখার জন্য। কারন কুয়াকাটার প্রধান আস্করশন হচ্ছে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত । আর একটা কথা সব গুলো স্পট দেখাতে বাইক এর ভাড়া হিসেবে অনেকে অনেক দাম ছাইতে পারে তবে নরমাল রেট হচ্ছে ৮০০ টাকা আর যদি ভাল খাতির দেয়া যায় বা দামাদামি করে কমান যায় তাহলে সর্বনিম্ন ভাড়া পরবে ৬৩০ টাকা।
৫।সব দেখা শেষে হোটেলে ফিরে রাতের বাসে ঢাকা ব্যাক করুন।

*****খরচ******

এই খরচে যেতে চাইলে মিনিমাম ৪ জন হতে হবে,
আমি একটা এভারেজ হিসাব দিয়ে দিলাম
১। ঢাকা - কুয়াকাটা- ঢাকা ৬৫০+৬৫০ = ১৩০০
২।খাবার ২ দিনের ( ৩ বেলা, ২৫০+২৫০) = ৫০০
৩।হোটেল (এক রুমে ৪ জন, ১০০০/৪) = ২৫০
৪।বাইক ( এক বাইকে ২ জন, ৭০০/৪) =৩৫০
মোট = ২৪০০

 লিখেছেন: Anthony Rozario

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন